
চন্দনাইশ প্রতিনিধি ঃ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীর পৌরসভার জামিজুরী গ্রামের পোল্ট্রি ফিড ও মাছ ব্যবসায়ী কাঞ্চন দাশের টাকা আত্মসাৎ, চেক চুরি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে গত ৩ এপ্রিল বিকেলে দোহাজারী পৌরসভার হাজারী শপিং সেন্টারের ২য় তলায় আল মদিনা কপি হাউস এন্ড রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে কাঞ্চন দাশ বলেছেন, কালিইয়াশ ইউনিয়নের পশ্চিম কাটগড় গ্রামের মোস্তাক মিয়া তার সাথে সু-সস্পর্ক গড়ে তুলে জমি ক্রয়ের কথা বলে দুইটি চেকে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জমি দেয়নি। এই বিষয় নিয়ে কয়েক বার সালিশি বৈঠক বসে। আরেক টি বৈঠক বসার সময় নিয়ে দোকানের ম্যানেজার নাসির উদ্দীনকে হাত করে। যোগসাজশে ক্যাশ থেকে তার সাক্ষরিত চেক চুরি করে নিয়ে যায়। চেক উদ্ধার করার জন্য আদালতে মামলা করি এবং সাতকানিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। মামলা ও অভিযোগের ভিত্তিতে সাতকানিয়া থানা চেকটি উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে রাখে। পরে দেখি চেকে ৩০ লক্ষ টাকা বসিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তাছাড়া কয়েকটি সংবাদপত্রে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে। এ বিষয়ে কাঞ্চন তার চেক উদ্ধারের জন্য এবং প্রতারণাপূবর্ক ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের বিষয় উল্লেখ করে আদালতে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেন। তিনি এ ব্যাপারে আইনি সহায়তা কামনা করে কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাঞ্চন দাশের ভাগিনা পলাশ বিশ্বাস, ভাই চম্পক দাশ সাথে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত মোস্তাক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত মোস্তাক মিয়া তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যৌথমালিকানায় কাঞ্চন দাশের সাথে মৎস প্রজেক্ট রয়েছে। সেখানে আমার ২৭ লাখ টাকা এবং কাঞ্চন দাশের বিশ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। আমার বিনিয়োগকৃত টাকা না দিয়ে যৌথ মালিকানা থেকে আমাকে বের করে দেয়ার জন্যই কাঞ্চন এসব তৎপরতা চালাচ্ছে।
leave your comments