চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের চন্দনাইশে কলেজছাত্রী ভাগনিকে হত্যা করার পর খালা ও খালুকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে নাজিম উদ্দিন (২৮) নামে এক যুবক। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণীর নাম আরজু আক্তার (২০)। গুরুতর আহত অবস্থায় তার নানা আবদুল হাকিম (৭৫) ও নানি ফরিদা বেগমকে (৬০) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করা হয়েছে। ফরিদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। আরজু আকতার রওশন আরা বেগমের মেয়ে আর রওশন আরা আবদুল হাকিমের বড় মেয়ে। রওশনের শ্বশুর বাড়ি কাঞ্চননাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত আরজু আক্তার গত বৃহস্পতিবার বেড়াতে এসেছিলেন তার নানাবাড়িতে। একই সময় তার খালাতো ভাই নাজিম উদ্দিনও বেড়াতে আসেন খালার বাড়িতে। নাজিম ওই দিন চলে যায়। পরে বুধবার দিবাগত রাত ১২ টায় খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে নাজিম। ঘটনার দিন রাতে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে, রাত ২টার দিকে বাথরুমে গেলে আরজুর ওপর হামলা চালায় নাজিম। সে সময় আরজুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। একপর্যায়ে মুখে কাপড় গুঁজে ও ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে ধারণা করছেন স্বজনরা। চিৎকার শুনে আরজুর নানা-নানির ঘুম ভাঙলে, তাদেরও জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায় নাজিম। তাদের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত হাকিম ও ফরিদাকে উদ্ধার করে প্রথমে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চমেকে পাঠানো হয়।
চন্দনাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, “নাজিম উদ্দিন তার খালাতো বোনের মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন। পরে তার নানা-নানিকেও হত্যার চেষ্টা করেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত নাজিমকে ধরতে অভিযান চলছে।”