
মফিজুর রহমান, মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালী থেকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলসহ অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সাথে অফিসার ইনচার্জের দ্বায়িত্ব পালন করায় সাধারণ জনগণের প্রসংশনীয় হয়ে উঠেছেন মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাই।
তিনি মহেশখালী থানায় যোগদানের পর থেকেই পুলিশের কঠোর নজরদারি ও তৎপরতায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে মাদক ব্যবসায়ীসহ জড়িতরা।
থানায় পুলিশের একের পর এক অভিযানে বড় বড় মাদকের চালান ধরা পড়ছে। ধরা পড়ছে মাদক ব্যবসায়ীরাও।
স্থানীয়রা বলেন, ওসি আবদুল হাই’র মতো একজন সৎ ন্যায়নিষ্ঠা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠী আওয়াজ তোলা পুলিশ কর্মকর্তা পেয়ে আমরা সত্যিই ধন্য।
মহেশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল হাই বলেন, বর্তমান সরকার গণমানুষের বন্ধু, সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে, মানুষের সাথে মিলেমিশে তাদের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে।
আমরা মানুষের অতন্ত্র প্রহরী, আমাদের কাজ হচ্ছে দেশকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাঁদাবাজ, ইভটিজার মুক্ত করে মানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনা। আমার কাছে ধনী-গরীব, রিক্সাচালকসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ সমান। একজন নির্যাতিত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হলো পুলিশ। আর আমরা যদি তাদের আশ্রয় এবং সমস্যা নিরসন না করি তাহলে কে করবে। “পুলিশ জনতার, জনতা পুলিশের” আমি এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবং সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস মুক্ত করতে এগিয়ে যাবো।
তিনি আরো বলেন, আমরা অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে রাত জেগে থাকি শুধু জনগণ শান্তিতে ঘুমাবে বলে, আমাদের ঈদের ছুটিও নেই শুধু জনগণ যাতে তাদের ঈদকে সুন্দর, সুশৃংখল এবং শান্তিতে কাটাতে পারে। আমি একটি কথা বলবো জনগণের উদ্দেশ্যে, আপনারা পুলিশকে নিজের বন্ধু ভাবুন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশ জনগণের শুধু বন্ধুই নয়, সেবকও। পুলিশ সব সময়ই জনগণের বন্ধু হিসেবে জনগণের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের পক্ষে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর সেবা দেওয়া সম্ভব নয়।
ওসি আবদুল হাই এর সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠায় সমগ্র মহেশখালী গর্ববোধ করেন। মহেশখালীর জনগণ মনে করেন, বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় ওসি আবদুল হাই এর মতো সৎ পুলিশ অফিসার যেদিন থাকবে সেদিনই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে নিরাপদ, সুন্দর ও শান্তিময় দেশ।
তিনি ২০২০ সালের ০১ মাসে ২৬ তারিখ মহেশখালী থানায় যোগদানের পর থেকে সিংহভাগ মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা তার নেতৃত্বে গ্রেপ্তার হয়েছে। মাদকের সাথে তিনি সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি নির্মূলে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। মহেশখালী থানায় যোগদানের পর থেকে তার এ্যাকশন মুখি অভিযানের আতঙ্কে স্থানীয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানান এলাকার সাধারন জনতার অনেকেই।
তিনি ১৯৭৪ সালে ৬ মাসে ১ তারিখ পাবনা জেলার সুজানগর থানার তাতিভন্দ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন
তিনি ১৯৯৯ সালে এসআই হিসেবে যোগদান করার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন এবং সর্বশেষ নানা সমস্যায় জর্জরিত অবস্থায় মহেশখালী বদলী হয়ে গত ২০২০ সালে থানার হাল ধরেন ওসি আবদুল হাই।
তিনি যোগদানের পরেই নিজের বুদ্ধিমত্তা আর আক্লান্ত পরিশ্রমে প্রায় মাদকমুক্ত ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছেন মহেশখালী থানায়।
সম্প্রতি নানা কারনে বেশ আলোচিত ও সব শ্রেণীর মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। বিশেষ করে থানায় জিডি ও মামলা করতে কোন টাকা লাগে না বলে থানার দেয়ালে সাটানো প্রজ্ঞাপন দেখে মুগ্ধ নানা অসুবিধায় পড়া মানুষগুলো। এতে বেশ সুনাম-সুখ্যাতিও কুড়িয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে গোটা দেশবাসীর নজরে পড়েন এই কীর্তিমান পুলিশ অফিসার। মহেশখালীর সর্বত্র বাসা বাড়ী ও হাট-বাজারে চুরি-ডাকাতি এবং কিশোর-যুবকদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি প্রতিনিয়ত। এছাড়া একাধিক ভুমিদূস্যতা, দখল-বেদখলসহ আইন-শৃংখলা পরিপন্থী কার্যক্রম রুখতে পারদর্শীতা দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
মহেশখালী থানার একাধিক পুলিশ অফিসার বলেন, স্যারের মতো এমন অফিসার পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। স্যারের মতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ন পরোপকারী পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব।
স্থানীয় দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকা ও স্টার বাংলা 24।টিভি’র সাংবাদিক জানান, পুলিশের কিছু সদস্য যারা নিজের ডিপার্টমেন্টের সুনাম রক্ষায় দিন-রাত নিরলস ভাবে কাজ করে পুলিশের ভাবমূর্তিকে জনতার মাঝে প্রশংসিত করে যাচ্ছেন। তাদেরই একজন মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হাই “পুলিশ জনতা, জনতাই পুলিশ” তিনি তার আচার-আচরণ, কথা-বার্তায় জনগণকে তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তিনি থানা পুলিশের একজন সর্বোচ্চ কর্মকর্তা তার মাঝে সেরকম কোন ভাব নেই। যিনি ধনী-গরিব বুঝেন না। তিনি শুধু বোঝেন তিনি জনগনের একজন সেবক। জনগণকে সেবা দেওয়াই যার লক্ষ্য। সদা হাস্যোজ্জল থাকেন। সকলের খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করেন। একসময়ের ক্রাইমজোন ও মাদকের আখড়া হিসাবে পরিচিত এই মহেশখালী উপজেলা মাদক, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। রেকর্ডসংখ্যক মাদক উদ্ধার মাদক ব্যবসায়ী এবং সেবনকারীদের গ্রেপ্তার অভিযানে মেধা ও বুদ্ধির কারণে তিনি স্থানীয় বসতি ও জনসাধারণের মাঝে আলোচনার স্থান দখল করে নিয়েছেন।
এ সফলতার রহস্য জানতে চাইলে আমি নিজস্ব উদ্যোগ, সাহস, মেধাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করেন। সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়ন আর দেশ প্রেমই মাদকবিরোধী অভিযানে তাক।
leave your comments