চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ॥
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কলেজ গেইট কলঘর বরগুনি ব্রিজ এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় আগুন লেগে আবদুস সবুর (৩০) নামে এক সিএনজি চালক আগুনে পুড়ে মারা গেছে। নিহত সবুর সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ইসামতি আলী নগর এলাকার মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে। আজ সোমবার বিকেলে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পর সাধারণ জনগণ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে গাছ ফেলে ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দাবিতে প্রায় এক ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৩ টায় কেরানীহাট অভিমুখী সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি মাজার পয়েন্ট ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে দোহাজারী পুলিশ বক্সের দায়িত্বরত সহকারী পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন সবুজ ও কনস্টেবল মোস্তাফিজুর সিএনজিটিকে সিগন্যাল দেয়। এসময় সিএনজি চালক দ্রুত উল্টোপথে ফিরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে পিছন দিক থেকে আসা বালুবর্তী একটি মিনি ট্রাকের (চট্ট মেট্টো শ-১১-৩৪৪১) সাথে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশাটিতে ৩ মহিলা যাত্রী সামনে বেরিয়ে যেতে পারলেও কিছুক্ষণ পর সিএনজিটিতে আগুন জ্বলে উঠলে চালক আর বের হতে পারেননি। মুহুর্তেই সিএনজির সাথে চালক সবুরও পুড়ে অঙ্গার হয়। ঘটনার পরপর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবিতে মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভ করে। এসময় প্রায় ১ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাঁন মোহাম্মদ ইরফান সাংবাদিকদের বলেন, চন্দনাইশ কলেজ গেইট এলাকার বরুমতি ব্রিজ এর উপর একটি অটোরিক্সায় ব্যাটারি থেকে আগুন লেগে চালক নিহত হয়েছে শুনেছি। আমরা দূরে ডিউটিতে তাকাই ওখানে যেতে পারি নাই। কিন্তু ওখানে দোহাজারী পুলিশ বক্সের অভিযান চলছে সেজন্য আমরা ওইদিকে যাই নদোহাজারী পুলিশ বক্স এর ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন সবুজ বলেন, ঘটনা থেকে আমরা ২ কিলোমিটার দূরে ছিলাম, ঘটনার ২ ঘন্টা আগে আমরা সড়কের অভিযান বন্ধ করি। আমরা কোন অটোরিক্সাকে ধাওয়া করি নাই। চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে আজ সোমবার সন্ধ্যার পরপর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওয়াসিম, দোহাজারীর দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. হাসান অভিযুক্ত এসআই দেলোয়ার হোসেন সবুজকে নিয়ে চলে যান।