
চন্দনাইশ(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
বরকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগণ সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়কালে লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান আবদুর রহিম চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন চলাকালীন পার্শ্ববর্তী রাশেদ ও রফিকুল ইসলাম অবৈধভাবে পরিষদের ১৯ শতক জায়গার সীমানার ভিতরে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন, কৃষকের চাষাবাদের ড্রেন, পানি চলাচলের কালভার্ট, খাল ভরাট করে অবৈধভাবে রাতের আধারে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এব্যাপারে তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর উভয় পক্ষ থানা কার্যালয়ে এক বৈঠকের মিলিত হন। বৈঠকে পরিষদের জন্য ৪ শতক জমি বিক্রি করার লক্ষে রফিকের সাথে ১ লক্ষ টাকা অগ্রিম নিয়ে একটি চুক্তিপত্র সম্পাদন হয়। ইতিমধ্যে রফিক জায়গা না দেয়ার কু-মানষে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে গত ৩১ মার্চ চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় তিনি শান্তি রক্ষার্থে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বলে জানান।
গত ১০ এপ্রিল বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের আঙ্গিনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, মাহাবুবুল আলম, মাষ্ঠার সিরাজুল ইসলাম, সচিব প্রদ্যুৎ চৌধুরী, ইউপি সদস্য যথাক্রমে সাইফুদ্দিন, আবুল জাফর, কামাল উদ্দিন, ইমরান খান বাহাদুর, মো. হাবিবুর রহমান, দিলীপ ভট্টাচার্য, প্রিয়ব্রত চৌধুরী, মহিউদ্দীন খান, মো. সেলিম উদ্দিন, মহিলা সদস্য যথাক্রমে ঝর্ণা দাশ, আয়েশা আকতার, সাবিনা ইয়াছমিন।
আলোচনায় অংশ নেন হাজী মো. ইউসুফ, শেখ মহিউদ্দীন চৌধুরী, শায়েস্তা খান। বক্তাগণ আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় উদ্ধার, পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ, সরকারি খাল পুণঃ উদ্ধার, পানি চলাচলের জন্য কালর্ভাট ও ড্রেন প্রসারিত করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে বাদী রফিকুল ইসলামের বক্তব্য নিতে তার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।