
জনি আচার্য্য
চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কটি খুবই ব্যস্ত মহাসড়ক হিসেবে পরিচিত। বাস, ট্রাক সহ অন্যান্য বৈধ যানবাহনের পাশাপাশি শত শত থ্রিহুইলার, নছিমন, করিমন, ভটভটি,প্রাইভেট গাড়ী, মাইক্রোবাস, এ্যাম্বুলেন্স, সিএনজি, অটোরিকশা, কার্ভাটভ্যান সহ হরেক রকমের যানবাহন প্রতিনিয়ত চলাচল করছে এই সড়ক দিয়ে।
পটিয়া ভেল্লা পাড়া এলাকা হতে দোহাজারী পৌরসভা পর্যন্ত প্রায়ই ৩৩ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেল রাস্তার পাশ থেকে মাটি সরে গেছে, ফলে মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে মহাসড়কটি।
ইচ্ছে করলে দোহাজারী সড়ক বিভাগ সহজে এবং দ্রুত সমাধান করতে পারে এই সমস্যার ।
কিন্তু কতৃপক্ষের উদাসীনতায় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন।
মসৃন সুন্দর রাস্তার পাশে মাটি না থাকায় যেন মনে হচ্ছে বস্ত্রহীন কোন জীব। সব আছে, কিন্তু কিছু একটা নেই। আর যেটা নেই সেই জিনিসটা হচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি।
যানবাহন সাইট দিতে গেলে একবার এই খাদে পড়লে জীবন বিপন্ন হতে পারে। মাসের পর মাস এই চিত্র সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করলেও দোহাজারী সড়ক বিভাগের যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। অথচ তাদের অবহেলায় এই ফাঁদ তৈরী হয়েছে।
রাস্তা করার সময় ঠিকাদারকে প্রতি কিলোমটার মাটির কাজের জন্য যা দেওয়া হয়েছিল, এই দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে তিনি মাটির টাকা পকেটস্থ করেছেন। ফলে পিচ ঢালা পথটি সুন্দর দেখা গেলেও পাশে তৈরী হয়েছে মরণ ফাঁদ। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে ওই সড়কে চলাচলকারী হাজারো যাত্রী বাঁচতে চাই। এমনিতে রাস্তা চৌড়া কম। তার উপরে দুই পাশে মাটি নাই। পাশাপাশি দুইটা গাড়ি চলতে গেলে ও ওভারটেক করার ক্ষেত্রে মারাত্নক ঝুঁকিতে পড়তে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পটিয়া উপজেলার ভেল্লাপাড়া, লড়িহড়া, উজিরপুর, ইন্দ্রপুল, গইরলার টেক, চন্দনাইশ উপজেলার বিজিসি বিদ্যানগর, বাদামতল, জোয়ারা, রসুনা হাট সংলগ্ন মসজিদের সামনে, দেওয়ান হাট, দোহাজারী ফুলতলা এবং পাক্কা দোকান নামক এলাকার মহাসড়কে অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গত কয়েকদিনে লবণ পরিবাহী ট্রাক সহ বেশ কিছু পরিবহন দূর্ঘটনার স্বীকার হয়।
নীলমনি আচার্য্য বাইসাইকেলে বান্দরবান থেকে পটিয়া বাড়ি ফিরছিলেন। মহাসড়কের
চন্দনাইশ পাক্কা দোকান নামক এলাকায় আসলে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি ট্রাক এতটাই কাছে এসে যায় যে, তিনি জীবন বাঁচাতে পিচ করা রাস্তা থেকে পাশে নামার চেষ্টা করেন। কিন্তু মাটির নাগাল না পেয়ে সাইকেল নিয়েই পড়ে যান পাশের গর্তে। আহত হন তিনি।একইভাবে পটিয়া ফুলকলির কারখানার সামনে সবজিবোঝাই পিকআপ ভ্যান নিয়ে মাটির নাগাল না পেয়ে গর্তে পড়েন চালক শরিফুল ইসলাম। শুধু নীলমনি ও শরিফুল ইসলাম নন, প্রায়ই এ জাতীয় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। চট্টগ্রাম – কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ- পটিয়া অংশে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোহাজারী সড়ক বিভাগের প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, ইতিমধ্যে পটিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার সড়কের পাশে গাছগাছালি কেটে পরিস্কার করা হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের ছয় লেইনের কাজ শুরু হবে, তবে যেসব জায়গা বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপুর্ণ সেসব স্থানে অতিরিক্ত মাটি অথবা ভাঙ্গা ঈট দিয়ে সাময়িক ভরাট করা হবে।