
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মূল নকশা বহির্ভূত ইসলামী ছাত্র শিবিরের মনোগ্রাম সম্বলিত শহীদ মিনার নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এ অভিযোগ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহবায়ক মো. দিদারুল হক দস্তগীর ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি খোরশেদ উদ্দিন আহমেদ মিন্টুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের ২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তায় নির্মাণাধীন শহীদ মিনারটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের মনোগ্রাম সম্বলিত ডিজাইনে নির্মিত হচ্ছে , যা সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ , অত্র স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে , যার প্রেক্ষিতে বিগত ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে নির্মাণাধীন শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ না করে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন , যা বিভিন্ন স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেইসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয় ।
এ পরিস্থিতিতে বিতর্কিত শহীদ মিনারের কাজ বন্ধ রেখে পাশে আরো একটি শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু করেছে , এভাবে লাখ লাখ টাকা সরকারী অর্থ অপচয়কারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক । উল্লেখ্য যে , শহীদ মিনার নির্মাণ সময়ের উক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে নব্বইয়ের দশকে চট্টগ্রাম কলেজ’র দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার হিসেবে অভিযোগ রয়েছে যদিও উক্ত ব্যক্তি বর্তমানে সুকৌশলে ক্ষমতাসীন দলে অনুপ্রবেশ করে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট দেয়া হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা বলেন, তদন্তের জন্য আমাদেরকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট জমা দিব।
স্কুলের সাবেক সভাপতি মো. নুরুল আবছার বলেন, জেলা পরিষদের নকশার আদলে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন যে, এটি শহীদ মিনারের বরাদ্দ হলেও মূলত আমরা আবেদন করেছিলাম স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ। জেলা পরিষদ ভুলে শহীদ মিনার নামে বরাদ্দ দেয়। নকশার বিষয়ে তিনি বলেন, জেলা পরিষদ ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান ও আমি মিলে কয়েকটি নকশা থেকে বাছাই করে এটি নির্ধারণ করা হয়।