
সাতকানিয়া নলুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তছলিমা আবছার চেয়ারম্যান প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। ৩রা ফেব্রুয়ারি তার ভেরিফাই ফেসবুক পেইজে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তার পেইজে দেওয়া মনের ভাব গুলো হুবহু তুলে ধরা হলো।
আমি আপনাদের চেয়ারম্যান তসলিমা আবছার বলছি। ২০১১সালের ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে আমার স্বামী প্রফেসর নুরুল আবছার চেয়ারম্যান জামাত-শিবিরের চক্রান্তে এবং খন্দকার মোশতাকরুপী কিছু আওয়ামীলীগ নেতার মদদে নির্মম-নৃশংসভাবে নিহত হয়।
বড় অসময়ে আমি স্বামীহারা আর আমার সন্তানরা হয়েছে এতিম।নির্লোভ, নিরহংকার,সদালাপী, সাহসী এই মানুষটি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে ছিলো। তার কথা বলতেই চোখে ভেসে ওঠে বুলেটের আঘাতে জর্জরিত তার বুক,সেই মুখ!!
প্রিয় চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে আপনারাও তখন দিশেহারা।তাই অসহ্য কষ্ট-যন্ত্রণাকে বুকে বেঁধে সেসময় আপনাদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। যার কারণে সোনার হরিণের মত সরকারী চাকরীটা ছাড়ার সময় একবারো ভাবিনি নিজের কিংবা সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা।
সকল প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে আমার স্বামীর পথেই হাটতে শুরু করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আপনারা আমাকে দুই দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন।সেজন্য আমি আপনাদের কাছে চীর কৃতজ্ঞ।আমি আমার মেধা,শ্রম,আর ভালবাসা দিয়ে চেষ্টা করেছি আপনাদের পাশে থাকতে।চেষ্টা করেছি আমার স্বামীর স্বপ্নের নলুয়া গড়তে।
তার অনেকটাই আজ দৃশ্যমান। চেয়েছিলাম আরো কিছু কাজ করতে। কিন্তু আপনারা জানেন আওয়ামীলীগ থেকে আমি এবার মনোনয়ন পাইনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গতবার আমাকে নিজে সরাসরি মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তাই তাঁর প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা রেখে আমি এইবার নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং চেয়ারম্যান প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছি।
পাশাপাশি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।পরিশেষে বলতে চাই,যে সন্মান ও ভালোবাসা আপনাদের কাছে পেয়ছি তা আমার চলার পথের পাথেয়। আমি আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ্।
চেয়ারম্যান হিসাবে সকল সফলতা আমি আমার নলুয়াবাসীকে উৎসর্গ করলাম,আর সকল ব্যর্থতা আমার কাঁধে নিলাম।আপনারা ভাল থাকলেই আমি ভাল থাকবো।দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় আমাকে কঠোর হতে হয়েছে।তার জন্য আমি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। আমার জন্য,আমার ছেলে-মেয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন।